পৃথিবীর উত্তর মেরু-বলয়ে বাংলাদেশের এক ক্ষুদে পর্যটক পা রেখেছে……
পৃথিবীর উত্তর মেরু-বলয়ে বাংলাদেশের এক ক্ষুদে পর্যটক পা রেখেছে। অঞ্চলটিকে আর্কটিক সার্কেল বলে। ফাযায়েল ইকবাল আরাফ রহমান মাত্র সাত মাস বয়সে আর্কটিক সার্কেলে পা রাখেন।
তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০ নভেম্বরে তার পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমায় ফিনল্যান্ডের রোভানিয়েমির ৬৬’ ৩২’ ৩৫’’ অবস্থানের আর্কটিক সার্কেলে।
এ সময় কর্তৃপক্ষ তাকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করে। ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকির থেকে প্রায় সাড়ে আট’শ কিলোমিটার দূরে জায়গাটির অবস্থান। সুপার ফাস্ট ট্রেনে যেতে প্রায় আট ঘণ্টা সময় লাগে। এছাড়া আকাশ পথেও যাওয়া যায়।
পৃথিবীর উত্তর মেরুর নিকটস্থ বৃত্তাকার অঞ্চলটিকে বলা হয় আর্কটিক সার্কেল। বছরে স্বল্প সময়ে সূর্যের আলো পড়া, এক নৈস্বর্গীক জগত। আর্কটিক সার্কেল পৃথিবীর মানচিত্রের ওপর দেখানো অক্ষাংশের পাঁচটি প্রধান সার্কেলের মধ্যে সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত এবং বৃহৎ। এটির আয়তন প্রায় ২০,০০০০০০ বর্গ কি.মি. (৭৭, ০০০০০ বর্গ মাইল) এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের প্রায় ৪ শতাংশ।
এটি উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণতম অক্ষাংশ হওয়ায় গ্রীষ্মকালে কিছুদিন সূর্য অস্ত যায় না, যাকে পোলার ডে বলে। আবার শীতকালে কিছুদিন সূর্য উদয় হয় না যাকে পোলার নাইট বলে।
আর্কটিক সার্কেল অঞ্চলটি আর্কটিক ওসান, রাশিয়া, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা প্রভৃতি দেশের সর্ব উত্তরের অংশ নিয়ে গঠিত। এলাকাগুলি বছরের বেশিরভাগ সময়ে বরফাবৃত থাকে। স্থলভাগের
বিশাল বিশাল হীমশৈল এবং আর্কটিক ওসান বা উত্তর মেরু মহাসাগরে ভাসমান দানবাকৃতির বরফচাই যেন এই অঞ্চলের প্রধান বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, আরাফ ইকবাল তার পিতা-মাতা আব্দুল্লাহ ইকবাল ও ফারজানা রহমান চৈতীর সঙ্গে ভ্রমণে অংশ নেয়।